আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বয়স এখন ৯৫ বছর। তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ।তবুও তার মৃত্যুর পর কী করা হবে, সেই পরিকল্পনা করে রেখেছে দেশটির প্রশাসন। ওই পরিকল্পনা শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ফাঁস করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রাজনীতি বিষয়ক ওয়েবসাইট পলিটিকো। রানি এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার তথ্য প্রকাশ হওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ কারণে আগামী সপ্তাহে রানির কাছে গিয়ে তিনি ক্ষমা চাইতে পারেন বলে জানা গেছে।ব্রিটিশ সরকারের সেই পরিকল্পনা ফাঁসের সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে তদন্ত কর্মকর্তারা।পলিটিকো’র প্রতিবেদনে বলা হয়, রানির মৃত্যু দিনের সাংকেতিক নাম ‘ডি ডেড’। পুরো পরিকল্পনার নাম ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’। রানির মৃত্যুর খবর প্রথমে যারা পাবেন, তাদের অন্যতম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। রানির ব্যক্তিগত সচিব ফোনে তাকে মৃত্যুর খবর জানাবেন। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রথম সেই খবর জনগণের সামনে ঘোষণা করবেন। ব্রিটিশ মন্ত্রীদের ফোন করে এবং রাজনীতিবিদদের ই-মেইলের মাধ্যমে জানানো হবে মৃত্যুর খবর। সেই মেইলে কী থাকবে, তাও ফাঁস হয়ে গেছে। রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে সমস্ত সরকারি দপ্তরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। গান স্যালুট দিয়ে সম্মান জানাবে প্রতিরক্ষা দপ্তর। রানির মৃত্যুর পর পরবর্তী রাজা হিসেবে চার্লসের নাম ঘোষণা করা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন নতুন রাজা। রানির মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন পরে তাকে সমাধিস্থ করা হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এর আগের ১০ দিন বন্ধ থাকবে পার্লামেন্টের সমস্ত কার্যক্রম। মন্ত্রিসভার সদস্যের শ্রদ্ধা জানাতে রানির মরদেহ প্রথম তিন দিন রাখা হবে পার্লামেন্টে। এসময় দেশে বিশেষ সফরে বের হবেন নতুন রাজা চার্লস। তিনি ফিরে এসে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। রানির মরদেহ বাকিংহাম প্রাসাদে আনা হবে চতুর্থ দিন। ষষ্ঠ দিন হবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মহড়া। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। রানিকে সমাহিত করা হবে উইনসর প্রাসাদে তার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের পাশে। তবে রানির মৃত্যুর পর এসব অনুষ্ঠানসূচির পরিকল্পনা নির্ভর করছে তিনি কোথায় ও কখন মারা যাবেন তার ওপর।