ঢাকা: জাতীয় সংসদে আগের দিন এক সংসদ সদস্যের শোক প্রস্তাবের পর দিনই আরেক সদস্যের শোক প্রস্তাবে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদ সদস্যদের মৃত্যুর শোক নিয়েই যেনো চলতে হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।এর আগে ভোরে স্বপন তুরস্কে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সংসদের এই অধিবেশন শুরুর দিন সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফের শোক প্রস্তাব উপস্থাপন হয়। গত ৩০ জুলাই আলী আশরাফ মারা যান।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কষ্টে ভেতর দিয়ে আমাদের সবাইকে যেতে হচ্ছে। এই পার্লামেন্টে আসার পর আমরা অনেককে হারিয়েছি। গতকালই এই অধিবেশনে একজনের শোক প্রস্তাব নিতে না নিতেই আজ খবর পেলাম হাসিবুর রহমান স্বপন আর নেই। তার কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের পর আমি তাকে বলেছিলাম সাবধানে থাকতে। কিন্তু তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনবান্ধব। তিনি যদি কিডনি ডায়ালাইসিস করেই বেঁচে থাকতো তাহলে অনেক দিন বেঁচে থাকতো। সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরে আমরা তার সহযোগিতায় অনেক কাজ করেছি। গতকালই তার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, আজই চলে গেলেন!এ সময় প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, আমাদের ডেপুটি স্পিকার অসুস্থ। তিনি বিদেশে চিকিৎসায় আছেন। আমরা দোয়া করবো তিনি যেনো সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই করোনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। স্বপনও নিজের শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা না করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যারা জনগণের জন্য কাজ করে তাদের মৃত্যুটা দেশের জন্য, মানুষের জন্য ক্ষতির।এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কি বলবো। একটার পর একটা শোক সংবাদ। শোকের মাস আগস্ট শেষ না হতেই গতকাল সংসদের এই অধিবেশনের প্রথম দিনে শোক প্রস্তাব দিয়ে অধিবেশন শুরু করতে হলো, আজ আবার শোক প্রস্তাব। শোকের ব্যথা যেনো যাবে না, একের পর এক শোক নিয়েই যেনো চলতে হচ্ছে।