নিজস্ব প্রতিবেদক : অসুস্থ, নারী, অভিনয়ের ক্যারিয়ার- এসব বিবেচনায় জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন আদেশে এসব কারণের কথা উল্লেখ করেন।এদিন দুপুর দুইটার পর থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা হয় জামিন শুনানি। শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু এতে কোনো অগ্রগতি নেই। আসামি একজন অসুস্থ নারী ও স্বনামধন্য অভিনেত্রী। বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে তার সিনেমার চুক্তি আছে। যার মধ্যে সরকারি অর্থায়নে নির্মিতব্য প্রীতিলতা সিনেমাও রয়েছে। কারাগারে থাকায় তিনি সেসব চুক্তি পূরণ করতে পারছেন না। তাই সার্বিক বিবেচনায় জামিন চাইছি।রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।শুনানি শেষে বিচারক অসুস্থ, নারী, অভিনেত্রী, মাদকের স্বল্প মূল্য বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা বন্ডে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এরপর পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড হয়। রিমান্ড শেষে তাকে ২১ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয়।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।
বগুড়া প্রতিনিধি:: বগুড়ায় জেলা কারাগারে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন মারা গেছেন। তিনি সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । শহিদুল ইসলাম রতন শহরের গোদারপাড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এবং বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা কারাগারের সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, শহিদুল ইসলাম রতন আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা ছিল। সম্প্রতি কারাগারের মেডিকেল ওয়ার্ডে রাখা ছিল তাকে। গতকাল বিকেলেও তাকে নেবুলাইজার দেয়া হয়েছিল। পরে রাতে ২ টার দিকে মারা যান তিনি।