নিজস্ব প্রতিবেদক: সিটি করপোরেশন আইনের প্রবিধি না থাকায় মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, আমাদের আইন আছে, প্রবিধি হয় নাই।সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব টুকু রয়েছে, সেটা করার জন্য আমাদের একটা প্রবিধি করা দরকার। এটার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। অনুমোদন পেলে, তখন মাঠ পর্যায়ে কাজ করা সম্ভব হবে। আশা করছি খুব শিঘ্রই এটা হয়ে আসবে। শনিবার (২৮ আগস্ট) পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের কুলুটোলা এলাকার ৪৭২ তনুগঞ্জ লেনে হেলে পড়া ছয়তলা ভবন ভাঙার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ রাজউক ও সিটি করপোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ঢাকা শহরের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ক্যাটাগরি করে তদারকি করা হয়। যে ভবনগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। এছাড়া কম ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে দু’ভাবে কাজ করে থাকি৷ মালিক যেন সরকারের নির্দেশনা মেনে চলেন এবং যদি তারা সেটা না করেন, তাহলে আমাদের সিটি করপোরেশনের যে প্রকৌশল বিভাগ রয়েছে, সেখান থেকে এটা করা হয়ে থাকে।তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন আইনানুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যদি থাকে তা ৭ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার কাজ করতে পারি। অতি ঝুঁকিপূর্ণ কিছু ভবন মালিকদের নোটিশ দিয়েছি ভবন ভেঙে ফেলার জন্য। যে ভবন বসবাসের অনুপযোগী সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা নিবো।কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে আসলে ব্যবহারের অনুপযোগী এরকম ৬ টি ভবন আমরা সিলগালা করেছি। এগুলো কয়েক দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলা হবে।তিনি বলেন, এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি মাসে আমাদের কারিগরি কমিটি মিটিং করে তাৎক্ষণিক কোনো এলাকার যদি তথ্য পায়, তাহলে তালিকা আপডেট করা হয়। এটা কোনো নিদিষ্ট তালিকা না। এ তালিতা বাড়তেও পারে আবকর কমতেও পারে। তিন মাসে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ভবন ভাঙা হয়েছে। সিটি করপোরেশন ২০০৯ একটা আইন আছে, সেখানে বলা হয়েছে, ভবন করার সময় সিটি করপোরেশন যে সুবিধাগুলো দেয় যেমন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জলাবদ্ধতা, জনচলাচলের রাস্তা ও আমাদের মাস্টার প্লানের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া। এই বিষয়গুলো আইনে বলা আছে তার আলোকে একটা প্রবিধি করার জন্য করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই প্রবিধির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে। এর আগে সূত্রাপুরের হেলে পড়া ভবন পরিদর্শন শেষে ফরিদ আহাম্মদ বলেন, পুরান ঢাকার সূত্রাপর এলাকার ৪৪ নং ওয়ার্ডে ৬ তলা যে ভবনটি হেলে পড়েছে। সেটা সম্পর্কে ১৯ আগস্ট আমাদের কাছে তথ্য আসে। পরে দেখা যায়, ভবনটি কোনো প্রকার অনুমোদন ছাড়াই ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে করায় ভবনটি হেলে পড়ে।তারপর আমরা রাজউক, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভবনটি তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে দিয়েছি। এরপর কারিগরি কমিটির পর্যালোচনা করে ভবনটি অতিদ্রুত নিজ দায়িত্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।