ঢাকা: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) প্রতিরোধে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকস এবং অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিতে প্রযুক্তি বিনিময় এবং বিনিয়োগে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরস্পরকে অর্থবহ সহযোগিতা করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) এএমআর বিষয়ে গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের (জিএলজি) দ্বিতীয় বৈঠকে ভার্চ্যুয়ালি দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য সম্প্রচার করা হয়।প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে জিএলজি গ্রুপের কো-চেয়ার ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এএমআর-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই পদক্ষেপ জরুরি। আসুন, আমরা অর্থবহভাবে পরস্পরকে সহযোগিতা করি এবং প্রযুক্তি বিনিময় ও মালিকানায় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সবার জন্য সামর্থ্যের মধ্যে কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকস ও অন্যান্য চিকিৎসা প্রযুক্তি প্রাপ্তি নিশ্চিতে একসঙ্গে কাজের গতি অব্যাহত রাখি।এএমআর এ সরাসরি টেকসই অর্থায়ন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, এএমআর-এর বোঝা লাঘবে এ খাতের সব পর্যায়ে অর্থায়ন অতি জরুরি।ওয়ান হেলথ প্রস্তাবের পাশাপাশি বহুখাতের ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নে জন্য জিএলজির অগ্রাধিকারকে সমর্থন এবং জিএলজির জন্য সমন্বিত যোগাযোগ কৌশল অনুমোদনের কথা উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন গ্রুপটির কো-চেয়ার শেখ হাসিনা।বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জিএলজি কার্যক্রমের পরিচিতি তুলে ধরতে অবদান রেখে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, গবেষণা, উন্নয়ন এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনে সবার সমান প্রাপ্তির লক্ষ্যে পর্যাপ্ত তহবিল নিশ্চিত করার কথা বলেন শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের রাজনৈতিক পদক্ষেপকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর এজন্য এএমআর এসডিজিএস বাস্তবায়নে এএমআর নিশ্চিত করা উচিত।গ্রুপটির কো-চেয়ার হিসেবে এ সভায় সভাপতিত্ব করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আরমো মোটলেইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এন্টিমাইক্রোবাইয়াল রেজিস্যান্স কন্টেইনমেন্টের ওপর ষষ্ঠ-বার্ষিকী (২০১৭-২০২২) ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। ডব্লিউএইচও-এর ক্যাটাগরি নিশ্চিতে নিয়মিতভাবেই মানব ও পশু স্বাস্থ্যের গবেষণাগার-ভিত্তিক এএমআর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।