আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৮২ সালে যিনি ভারতের সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষাণ নিয়েছিলেন, সেই ‘শেরু’ এখন প্রথম দশ তালেবান নেতার অন্যতম।১৯৮২ সালের ব্যাচে ৪৫ জন ক্যাডেটের সঙ্গে ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে (আইএমএ) প্রশিক্ষণ নিতে আসেন ২০ বছরের শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই।বন্ধুরা তাকে ‘শেরু’ বলে ডাকতেন। সেই শেরু এখন প্রথম ১০ জন তালেবান নেতার একজন।সেই ব্যাচের ক্যাডেট মেজর জেনারেল ডিএ চতুর্বেদির মনে আছে শেরুর কথা। তিনি বলেন, শেরুর কাছে কখনো চরমপন্থি কোনো কথা শুনিনি। আমরা বন্ধু ছিলাম। মনে পড়ে গোঁফ নিয়ে খুব সচেতন ছিল শেরু। দেখার মতো গোঁফ। তবে উচ্চতা একটু কম ছিল। তা নিয়ে ক্ষ্যাপানোও হতো ওকে।একসঙ্গে হৃষিকেশ যাওয়ার কথা মনে আছে শেরুর আরেক বন্ধু কর্নেল কেশর সিং শেখাওয়াতের। সে সময়ের ছবিও আছে তার কাছে। যেখানে আইএমএ-এর সুইমিং ট্রাঙ্ক পরে শেরু গঙ্গায় স্নান করছেন।আইএমএতে ট্রেনিং নেওয়ার পরে মোহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই লেফটেন্যান্ট হিসেবে সরাসরি যোগ দেন আফগানিস্তানের জাতীয় সেনা বাহিনীতে। ১৯৯৬ সালে সেনাবাহিনী ছেড়ে যোগ দেন তালেবান শিবিরে। স্পষ্ট ইংরেজি বলতে পারেন মোহাম্মদ আব্বাস। সে কারণেই তালেবান শিবিরে তার জনপ্রিয়তা তৈরি হয়।
১৯৯৭ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে তাকে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে উল্লে করা হয়। তিনি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসেন। ২০১২ সালে দোহায় তালেবানের রাজনৈতিক দফতরেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।