খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় চতুর্থ স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী পরিমল বাইনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।আসামি পরিমল বাইন পলাতক রয়েছেন।রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে খুলনা সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।আদালত সূত্র জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আব্দুল মজিদ গাজীরহাট এলাকায় ডিউটিকালীন সময়ে স্থানীয় লোকজনের মুখে জানতে পারেন, ওই থানা এলাকার পদ্মবিলা ও বামনডাঙ্গা বিলের মধ্যে আত্রাই নদীর সংযোগস্থলে মাথাবিহীন মরদেহ পড়ে রয়েছে। দুপুরে তিনি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। মরদেহের পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন যার নম্বর ৯।মামলাটির তদন্ত করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান। কুলকিনারা না পেয়ে পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী তদন্ত করে স্বামী পরিমল বাইন ও টিপু শেখকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিমল বাইন তার স্ত্রী হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।পরিমল বাইনের একাধিক বিয়ের ঘটনা জেনে যাওয়ায় স্ত্রী মিনা রানি পোদ্দার স্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। তাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে স্বামী পরিমল। হত্যার জন্য ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করা হয় একই এলাকার খুনি টিপু সুলতানকে। সে অনুযায়ী ভিকটিমকে তার স্বামী ওই বছরের ১৩ এপ্রিল রাতে টিপু সুলতানের বাড়ি নিয়ে যায়। নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুনি দা দিয়ে ভিকটিমের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে চুক্তি অনুযায়ী নিহতের স্বামী টিপু সুলতানকে ১০ হাজার টাকা দেন। ২০১৭ সালের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের ২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে আসামি টিপুর মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।