প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি রিপোর্ট দিয়েছিল—পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এটা করেছে। পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এসে যদি এটা করে তাহলে সরকার-প্রশাসন কী করলো? ওই দিন রাতেই খালেদা জিয়া চার জনকে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যেতে দেয়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, এরা অনেকগুলো ক্রিমিনাল যোগাড় করেছিল। এর মধ্যে জেলখানা থেকেও ক্রিমিনাল বের করা হয়। তারা সবাই সব গ্রেনেড মারতে পারেনি। কারাগারসহ বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড পাওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী তার ওপর বিভিন্ন সময় হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে আসার পর থেকে আমি যখন যেখানে গেছি বোমা হামলা হয়েছে, মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছিল—একশো বছরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বলেছিল, আমি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবো না। তিনি নিজেই বিরোধী দলের নেতাও হতে পারেননি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ হয় তো মানুষকে একটা কাজ দেন, সেই কাজ না হওয়া পর্যন্ত সময় দেন। আল্লাহ যখন আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমি তো আমার বাবার পথ ধরেই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। বার বার বোমা-গুলি, অনেক কিছুই তো চোখের সামনে দেখেছি, মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেছি, বার বার আমার সামনে মৃত্যু এসে দাঁড়িয়েছে। এ দেশের যারা দুঃখী মানুষ তাদের মুখে হাসি ফোটাবো—এই আমার একমাত্র কাম্য।
আলোচনা সভায় আারও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাম।