সাভার প্রতিনিধি : সাভারে গিনেস বুক রেকর্ডের অপেক্ষায় থাকা সাভারের খর্বাকৃতির গরু রানীর মৃত্যু নিয়ে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন গুরুটির মালিক ও উপজেলা পশু চিকিৎসক।মালিক বলছেন, গরুটি বেঁচে আছে কিন্তু অসুস্থ হয়েছে।তবে চিকিৎসক বলছেন, অতিরিক্ত দানাদার খাবার হজম করতে না পাড়ায় গরুটি বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা গেছে।বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে শিকড় অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান গরুটি বেঁচে থাকার কথা জনিয়েছেন। অপর দিকে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল মোতালিব। শিকড় অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘রানীকে বিভিন্ন সময় চুরির চেষ্টা চালানো হয়েছে। এছাড়া অনেকেই দেখতে আসেন। এসব কারণে তার নিরাপত্তা হুমকি ছিল। সম্প্রতি রানীর মতো আরেকটি গরুও আনা হয়েছে এখানে। নতুন গরু আনার পর রানীকে আরেক ঘরে নেওয়া হয়েছে। ওখানে নেওয়ার পরেই রানী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে মারা যাওয়ার খবরটি গুজব। ছোট গরু হওয়ায় অনেক সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেট ফুলে যায়। তবে ফের সুস্থ হয়ে যায়। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া।অন্য দিকে সাভার উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বলেন, মূলত গরুটি দুই-তিন দিন থেকে অসুস্থ। সেই অ্যাগ্রো ফ্রার্মের নিজস্ব ডাক্তার এতদিন চিকিৎসা করেছে। পরে গরুটির অবস্থার অবনতি হলে সাভারে পশু হাসপাতালে আনে আজ দুপুরে। পরে চিকিৎসা দেওয়ার সময় আধাঘণ্টা পরই গরুটির মৃত্যু হয়। মূলত গরুটির খাবারে সমস্যা হওয়ার কারণে মারা গেছে। যাকে বলে ফুট পয়জন। ছোট গরু হিসেবে দানাদার খাবারটা একটু বেশি দিয়ে ফেলায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল।প্রসঙ্গত, পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে গিনেজ বুক অফ ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি জন্য আবেদন করা হয়েছিল রানীর জন্য। আর এক দেড় মাস হলেই গিনেজ বুকে নাম থাকতো রানীর। ‘রানী’র উচ্চতা ২০ ইঞ্চি ও ওজন মাত্র ২৬ কেজি।