বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, গুলি চালানোর ঘটনার জোড়ালো তদন্ত চাইবো। মেয়র হিসেবে এভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব না।প্রধানমন্ত্রী আমাকে শপথ পড়িয়েছেন, আমার বাবা আছেন তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। যদি আমার অপরাধ হয়ে থাকে, আমি আমার রেজিগনেশন লেটার দিয়ে দেবো।বুধবার (১৯ আগস্ট) দিনগত রাত ৩টার দিকে নগরের কালিবাড়ি রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে থানা কাউন্সিলের ঘটনার বিবরণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।এসময় মেয়র আরো বলেন, আপনার (ইউএনও) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়ে থাকলে আমাকে বলতে পারতেন। বরিশালে এতো বছরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যে এইভাবে আমাদের গুলি করা লাগবে। আবার শুনলাম যারা আহত হয়েছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য মেডিক্যালে গেছে। অপরাধ হয়ে থাকলে তাদের হয়নি, আমি মেয়র তাই মাথা পেতে নিলাম, আমি রেজিগনেশন লেটার প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়ে দেবো।এদিকে এ ঘটনার পর বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান-বিপিএম বার, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি জামিল হাসানসহ একাধিক কর্মকর্তারা ইউএনও’র বাসায় যান।উল্লেখ্য বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বরিশাল নগরের থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আনসার সদস্যদের গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা সড়কে ময়লা ও যানবাহন ফেলে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে রাতভর সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে।