জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানান, ২০১৬ সাল থেকে তিনি নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন। মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে তিনি বাসায় একটি মিনিবার করেছেন। মিনিবার থাকায় তার বাসায় পার্টির আয়োজন করা হতো। সেই পার্টিতে বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ করতেন রাজ।
বুধবার (৪ আগস্ট) দিনগত রাত সোয়া আটটার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযানের প্রথম দিকে পরীমনি র্যাবকে কোনো সহযোগিতা করেননি। তবে, পরে তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে বিদেশি মদ, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) এবং আইস উদ্ধার করা হয়। পরে তার ড্রয়িং রুমের কাভার্ড, শো-কেস, ডাইনিং রুম, বেডরুমের সাইড টেবিল এবং বাথরুম থেকে বিপুল সংখ্যক মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব কর্মকর্তারা জানান, পরীমনির ড্রয়িং রুম, ডাইনিং রুম, বেডরুম এমনকি বাথরুম থেকেও বিদেশি মদ উদ্ধার করা কয়েছে। সারা বাসাজুড়ে থরে থরে মদের বোতল রাখা ছিলো। তার বাসায় এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখানে মদ নেই। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কমই আমদানি হয়।