আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর ছুটি কাটাতে সপরিবারে ইবজা ও মায়ামিতে গিয়েছিলেন মেসি। এরপর সেখান থেকে মাঝে একবার কাতালুনিয়ায় ফিরলেও দলের সঙ্গে যোগ দেননি। এরপর ফের ছুটি কাটাতে যান তিনি। এরপর গত বুধবার ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন বার্সার ইতিহাসের সফলতম এই ফুটবলার।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর দলের সঙ্গে অনুশীলনে নেমে পড়বেন সদ্য কোপা আমেরিকার শিরোপাজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আগামী রোববার হুয়ান গাম্পার ট্রফিতেই ফের তাকে বার্সার জার্সিতে দেখা যেতে পারে। মৌসুম শুরুর এই টুর্নামেন্ট দেখতে এস্তাদিয়ো হুয়ান ক্রুইফে ৩ হাজার দর্শক উপস্থিত থাকার কথা। সেখানে মেসি তাদের উদ্দেশে ভাষণও দেবেন।
গত জুনের শেষ দিনটির শেষে বার্সায় যখন মধ্যরাত, তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এক বছর আগেই অবশ্য একবার বার্সাকে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তখন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তির শর্তের কারণে যাওয়া হয়নি। কিন্তু গত জুনের পর থেকে তিনি কার্যত আর বার্সার খেলোয়াড় নন।
মেসির সঙ্গে বার্সার নতুন চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয় মূলত তিনি নিজে বেতন অর্ধেক নিতে রাজি হওয়ার পর থেকে। লা লিগার শর্ত অনুযায়ী, ক্লাবের বাকিদেরও বেতন কমানোর চেষ্টা করছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে মেসিকে ধরে রাখতে সহায়তার বাড়িয়ে দিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষও।
সম্প্রতি আমেরিকার সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনারদের কাছ থেকে ২.৭ বিলিয়ন ইউরো ঋণ সহায়তা পেয়েছে লা লিগা। করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে আর্থিক ক্ষতি উঠতে এই সহায়তা আসে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ ব্যয় হবে ক্লাবগুলোর অবকাঠামোর পেছনে। ১৫ শতাংশ ঋণ পরিশোধ এবং বাকি ১৫ শতাংশ খেলোয়াড়দের পেছনে ব্যয় করা হবে। মোট ঋণ থেকে বার্সা পাচ্ছে ২৮০ মিলিয়ন ইউরো। এর মধ্যে ৪২ মিলিয়ন ইউরো তারা ট্রান্সফার ও বেতনের পেছনে খরচ করতে পারবে। অর্থাৎ মেসির চুক্তি নবায়ন অবশেষ আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
ঋণ সহায়তা পাওয়ায় বার্সা শুধু মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন নয়, একইসঙ্গে নতুন দলে ভেড়ানো খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশনও সম্পন্ন করতে পারবে। মেম্ফিস ডিপে, এমেরসন, সার্জিও আগুয়েরো এবং এরিক গার্সিয়ারা এখনও ক্লাবের বেতন সংক্রান্ত ঝামেলার কারণে যারা অফিসিয়ালি বার্সার খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি পাননি, তারা এখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারবেন।