তাদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলা দায়ের করবে, এরই মধ্যে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরপর সেসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বনানীর লেক ভিউ ১৯/এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অভিযানে যান র্যাব সদস্যরা। এসময় তাৎক্ষণিক ফেসবুক লাইভে এসে পরীমনি বিষয়টি সবাইকে জানায়। তিনি বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় বিভিন্ন পোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি বাসার বাইরে থেকে কলিং বেল দিয়ে দরজা খুলতে বলছেন। ফেসবুক লাইভে থাকা অবস্থায়ই তিনি থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তার পরিচিতজনদের কাছে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। বাইরে থেকে বারবার র্যাব তাদের পরিচয় দিলেও তিনি ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং আইন-শৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্যদের বাসার বারান্দা দিয়ে দেখে বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিটে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এরপর র্যাব সদস্যরা বাসার ভেতরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন।
এ সময় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, সুনির্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব।
জানা গেছে, অভিযানের প্রথম দিকে পরীমনি র্যাবকে কোনো সহযোগিতা করেননি। তবে, পরে তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে বিদেশি মদ, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) এবং আইস উদ্ধার করা হয়।
তার ড্রইংরুমের কাভার্ড, শো-কেস, ডাইনিং রুম, বেডরুমের সাইড টেবিল এবং বাথরুম থেকে বিপুল সংখ্যক মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব কর্মকর্তারা জানান, পরীমনির ড্রইংরুম, ডাইনিং রুম, বেডরুম এমনকি
ওয়াশরুম থেকেও বিদেশি মদ উদ্ধার করা কয়েছে। বাসাজুড়ে থরে থরে মদের বোতল রাখা ছিলো।
তার বাসার এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে মদ নেই। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কমই আমদানি হয়।