নিউজ ডেস্ক : ওমান সাগরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে সশস্ত্র ব্যক্তিরা পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে আন্তজার্তিক গণমাধ্যমে। বিবিসি বলছে, জাহাজটিকে ইরানের দিকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে লয়েডস লিস্ট মেরিটাইম ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে।বিটুমিন বহনকারী এমভি অ্যাসফল্ট প্রিন্সেস নামের এই ট্যাংকারটি এখন হরমুজ প্রণালীর দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কারা জাহাজটি দখল করেছে, তা পরিষ্কার নয়। তবে এর পেছনে ইরানি বাহিনী জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।এদিকে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বলেছে, ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ তৈরি করার উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে যেকোন মিথ্যা ষড়যন্ত্রের পরিবেশ তৈরি না করার জন্য তারা সতর্ক করে দিয়েছে।ইসরায়েলি মালিনাকাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত একটি তেলবাহী জাহাজে হামলার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। ওই ড্রোন হামলায় দুই জন নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছিলেন, যাদের একজন ব্রিটিশ, আরেকজন ছিলেন রোমানিয়ার নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইসরায়েল ওই হামলার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনার বলছেন, এমভি অ্যাসফল্ট প্রিন্সেসের মালিক দুবাই-ভিত্তিক একটি কম্পানি। দুই বছর আগে তাদের একটি জাহাজ ছিনতাই করেছিল ইরানের বিপ্লবী বাহিনী। হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি জাহাজটি আসার পর অন্তত নয় জন সশস্ত্র ব্যক্তি জাহাজে ওঠেন। এই প্রণালী থেকে বিশ্বের মোট তেলের অন্তত এক পঞ্চমাংশ পরিবহন করা হয়ে থাকে।এর আগে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্স (ইউকেএমটিও) জাহাজগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে যেন সেগুলো ওমান উপসাগরে ফুজাইরাহের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে চলার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছাকাছি ওই জাহাজে কী ঘটেছে, সেটি নিয়ে তারা জরুরি ভিত্তিতে অনুসন্ধান করতে শুরু করেছেন। ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছে হোয়াইট হাউস।
বার্তা সংস্থা এপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর আগে দিনের প্রথমভাগে চারটি তেলবাহী জাহাজ জানিয়েছিল যে জাহাজের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। সাধারণত কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলা বা আটকে গেলে এ রকম ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে।