এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪৫ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৯৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৩টি, জিন এক্সপার্ট ৫৩টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫১১টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৭ হাজার ২৯৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ হাজার ২৮৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৮০ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, বরিশাল বিভাগে আট জন, সিলেট বিভাগে ১২ জন, রংপুর বিভাগে ১২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭৩ জন, বেসরকারি ৪৯ হাসপাতালে জন এবং বাড়িতে ১৫ জন এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৮০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে চার জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন চার হাজার ৫২৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৬০২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ছয় হাজার ৮০৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ২০ হাজার ৬০৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮৬ হাজার ২০১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।