নিউজ ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫১তম জন্মদিনের দ্বিভাষিক স্মারকগ্রন্থ ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে গণভবনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।এর আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মবার্ষিকীর স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।দ্বৈত ভাষায় প্রকাশিত ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ স্মারকগ্রন্থটির মুখবন্ধ লিখেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। গ্রন্থটির উপদেষ্টা সম্পাদক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। বইটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী।দ্বিভাষিক গ্রন্থ হলেও ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ একটি ব্যতিক্রমী প্রকাশনা। সুদৃশ্য মোড়কে বাংলা ও ইংরেজি দুটি বইয়ের যুগলবন্দী এটি। ১৬০ পৃষ্ঠার প্রতিটি বইয়ে রয়েছে দশটি নিবন্ধ এবং ‘ফেলে আসা দিনগুলি’ ও ‘সংবাদচিত্র’ শিরোনামে আলোকচিত্রভিত্তিক দুটি পৃথক অধ্যায়। দ্বিভাষিক গ্রন্থটির প্রকাশক ইয়াসিন কবীর জয়।প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা তারুণ্যের প্রতীক সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় গত এক যুগে দেশের প্রান্তবর্তী মানুষটির কাছে তথ্যপ্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দেওয়ার ভেতর দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশের অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে। সজীব ওয়াজেদ জয় শুধু দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের নেপথ্য সারথিই নন, দেশের তরুণসমাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি তরুণদের সামনে খুলে দিয়েছেন তাদের অফুরন্ত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ। তরুণদের আত্মনির্ভরশীল হতে উৎসাহিত করে চলেছেন তিনি। নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তরুণসমাজের অগ্রযাত্রার পথের বাধা অপসারণ করতে। গত এক যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নিরলস কর্মপ্রচেষ্টা, তার ব্যক্তিজীবন এবং দেশে এখন তথ্যপ্রযুক্তির সেসব সেবা-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতের যা কর্মপরিকল্পনা, মোটাদাগে তা তুলে ধরা হয়েছে। এই বিপুল কর্মযজ্ঞের বিবরণের পাশাপাশি সন্নিবেশিত হয়েছে আড়াই শতাধিক সংবাদচিত্র।বইয়ে ব্যবহৃত সংবাদচিত্রগুলো ইয়াসিন কবীর জয়, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, এবিএম আখতারুজ্জামান, হাসানুজ্জামান তরুণ, নাজমুল হক বাপ্পী ও ফোকাস বাংলা নিউজের। বঙ্গবন্ধুর ছবিগুলো তুলেছেন গোলাম মাওলা, কামরুল হুদা,আলহাজ জহিরুল হক, মোহাম্মদ আলম, বাল কৃষ্ণান, লুৎফর রহমান, পাভেল রহমান এবং কিছু ছবি নেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত ‘জাতির জনক’ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ গ্রন্থ, জয়ীতা প্রকাশনীর ‘বাঙালির হৃদয়ের ফ্রেমে জাতির পিতা’ গ্রন্থ এবং পারিবারিক অ্যালবাম থেকে।
জয়ীতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত স্মারক প্রকাশনাটির প্রচ্ছদ ও গ্রন্থপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ। এর মূল্য রাখা হয়েছে তিন হাজার টাকা। পাওয়া যাবে ২০-২১ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ জয়ীতা প্রকাশনীর কার্যালয়ে। যোগাযোগ ০১৯১১৯৮৮৮৭৭, ০১৭১৫৯০৮৯৫৯।