জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উখিয়ার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, রামুর কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া, নবগঠিত ঈদগাঁওয়ের পোকখালী, ইসলামাবাদ, ঈদগাঁও ইউনিয়ন, টেকনাফের হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ইউনিয়ন এবং চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর, ডুলাহাজারা, চিরিঙ্গা ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। এসব গ্রামের কয়েক হাজার বাড়ি অন্তত পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
অপরদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি উপকূলীয় এলাকায় কয়েক ফুট উচ্চতায় আঘাত হানছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল বঙ্গোপসাগরের জোয়ার ও দুইদিন ধরে টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে জেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া দপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার উপকূলে যেসব নৌযান চলাচল করে সেসব নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থেকে মাছ শিকারের কথা বলা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৭ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর দু’দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। পাহাড়ে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।