লঞ্চ টার্মিনালে নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাবের ৭০ সদস্য

লঞ্চ টার্মিনালে নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাবের ৭০ সদস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক  : ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চত করতে র‌্যাবের ৭০ জন সদস্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মাহাফুজুর রহমান।তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে লোকজনকে স্বাস্থ্য সচেতন করা হচ্ছে আমাদের মূল কাজ।সামনের দুই দিন আমাদের আরও চাপ যাবে। এরমধ্যে যতটুকু পারা যায় মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন রেখে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করা। সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। এছাড়া কোনো ধরনের অভিযোগ আসলে অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা।  রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চয়াতনে গৃহীত ব্যবস্থাদি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এডিশনাল ডিআইজি মাহাফুজুর রহমান বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও র‌্যাবের কন্টোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। শুধু কন্টোল রুমই না টার্মিনালে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীরা যাতে কোনো ধরনের অরাজকতা তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি দেখছেন আমাদের কর্মীরা।তিনি বলেন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে কাজ করার জন্য আমাদের কন্টোল রুম ও র‌্যাবের প্রায় পোশাকধারী ৪৫ জন সদস্য এবং সাদা পোশাকে আরও ২৫ জনসহ মোট ৭০ জনের মতো কর্মী কাজ করছেন। এছাড়া নৌপুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা, বিআইডব্লিইউটিএ বিআইডব্লিইউটিসি সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছি। কোনো ঘটনা ঘটলে দুষ্কৃতকারী বা অপরাধীকে ধরে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।অতিরিক্ত ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে এডিশনাল ডিআইজি বলেন, আসলে বিষয়টি র‌্যাবের না। বিআইডব্লিইউটিএ এর নিজস্ব জনবল আছে, তারা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তবে তারা যদি আমাদের কাছে কোনো ধরনের সাহায্য চান তাহলে আমরা সহযোগিতা করবো।লঞ্চ মালিক বা কর্তৃপক্ষও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে দৃষ্টিপাত করছে না, এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে এডিশনাল ডিআইজি বলেন, আসলে এত লঞ্চ ও এত যাত্রী সামাল দেওয়া কঠিন। ঘরমুখী মানুষদের পুরোপরি নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টসাধ্য। এ ক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের আরও সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে এই লঞ্চের মাধ্যমে করোনাভাইরাস বরিশাল, খুলনা, ভোলা, পটুয়াখালী চলে যেতে পারে। বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। আমরা অবশ্যই বিষটি বিআইডব্লিইউটিএ-এর নজরে নিয়ে আসবো। অবশ্যই তারা বিষয়টি লঞ্চ মালিকপক্ষের নজরে আনবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সন্দ্বীপে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

বাংলাদেশ ইসকন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, বিতর্কিত মৎস্য কর্মকর্তাকে বদলি