মাদারীপুর প্রতিনিধি : লকডাউন তুলে দেওয়ার তৃতীয় দিনে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুর থেকে নৌরুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।লঞ্চে করে হাজার হাজার যাত্রী এসে নামে বাংলাবাজার ঘাটে। দূরপাল্লার পরিবহন কাউন্টারেও ছিল যাত্রীদের চাপ। বাস, মাইক্রোবাস, থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক আর মোটরসাইকেলে গন্তব্যে ছুটছে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা যাত্রীরা। অন্যদিকে, ফেরিঘাটেও রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের বাড়তি চাপ। গরু বোঝাই ট্রাকের লম্বা সিরিয়াল আর টার্মিনালে অপেক্ষামান অন্য যানবাহন। শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) লঞ্চ চলাচল শুরু করার পর শনিবার সকাল থেকে নৌরুটে যাত্রীচাপ বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী। ঈদের বাকি আর মাত্র ৩ দিন হলেও অন্য বছরের চেয়ে এবার ঘরমুখো মানুষের চাপ এই সময়ে কিছুটা কম রয়েছে। নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ চলছে। ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এদিকে, বাংলাবাজার ঘাট থেকে ঢাকাগামী যাত্রী নেই বললেই চলে। অনেকটা যাত্রীশূন্য লঞ্চ শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে। মো. মিরাজুল ইসলাম নামের শিবচরের এক যাত্রী বলেন, পথে তেমন কোনো ভোগান্তি নেই। লঞ্চে ধারনক্ষমতার অর্ধেক উঠানোর কথা থাকলেও তা তেমনভাবে মানছেন না লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। একটু বেশিই যাত্রী মনে হচ্ছে।আকাশী বেগম নামের বাগেরহাটের এক যাত্রী বলেন, লকডাউনে ঢাকায় ছিলাম। কোথাও যেতে পারি নি। গত ঈদও ঢাকায় করেছি। এবার লঞ্চ চালু হওয়ায় বাড়ি যাচ্ছি।শিবচর থানা সূত্রে জানা যায়, ঘরমুখো যাত্রীদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় যাতে দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেজন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ আজ থেকে দায়িত্ব পালন করছে। ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, টার্মিনালসহ ঘাটে প্রবেশের সকল স্থানেই পুলিশ রয়েছে। পাশাপাশি লঞ্চঘাটের পন্টুনে আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, দুপুর থেকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে। আমরা যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি এবং মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক ঘাটে মাইকিং করছি। বাংলাবাজার থেকে যাত্রীবিহীন যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম রয়েছে। লঞ্চ এবং বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলেই জরিমানা করা হচ্ছে।