বাজারে প্রতি কেজি চালে দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম বাড়ে বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকা, পোলাওয়ের চাল আগের দামেই ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কালশী বাজারে চাল বিক্রেতা ডেইলি মার্ট দোকানের মালিক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে চালের দাম। মধ্যস্বত্বভোগী বা পাইকাররা বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর ফলে কৃষক চালের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মিরপুর-১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, পাইকার আর সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে চালের দাম। গত মৌসুমে এ সময় চালের দাম কম ছিল। এখন বেশি দামে চাল বিক্রি করছি। ঈদের পরেই আসছে বিধি-নিষেধ বা লকডাউন এ সময় চালের দাম আরও বাড়তে পারে।
দাম বেড়ে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ টাকা।
দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। লেয়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই আগের থেকে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।