আর চার বিভাগের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ঢাকার তামপাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি, যশোরে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও বরিশালে ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৩৭ মিলিমিটার।এদিকে দিনভর খরতাপ আর যানজটে নাকাল ছিল রাজধানীবাসী। তবে সন্ধ্যার পর বৃষ্টি আর বাতাস স্বস্তি এনে দেয়। আগামী শুক্রবারও (১৬ জুলাই) দিনের তাপমাত্রা কমার কোনো আভাস নেই।আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।এ অবস্থায় আগামী শুক্রবার চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টিপাত বাড়লে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে এ সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১২ কিলোমিটার। আগামী শনিবার (১৭ জুলাই) নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।এদিকে অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।