স্পোর্টস ডেস্ক : ৩৭ বছর বয়সে ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিলেন বায়ার্ন মিউনিখ ও চেলসির সাবেক ডাচ উইঙ্গার আরিয়েন রোবেন। টুইটারে এক বিবৃতি প্রকাশ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিজেই জানিয়েছেন রোবেন।রোবেন অবশ্য ২০১৯ সালে বায়ার্নে নিজের শেষ মৌসুমের পরই অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পর সিদ্ধান্ত পাল্টে ডাচ ক্লাব গ্রোনিঞ্জেনে যোগ দেন তিনি। এই ক্লাবের জার্সিতেই ২০০০ সালে সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক হয় তার। সেই একই ক্লাবের হয়ে খেলেই বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। গত মৌসুম শেষেই রোবেনকে নতুন করে এক বছর মেয়াদী চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল গ্রোনিঞ্জেন। কিন্তু ২০২০-২১ মৌসুমের অধিকাংশ সময় ইনজুরির সঙ্গেই লড়াই করেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে ডাচ লিগে নিজের দ্বিতীয় অভিষেক ম্যাচে পিএসভির বিপক্ষে খেলতে নেমে ২৮তম মিনিটেই ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ইনজুরিতে পড়ার পর নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের একসময়ের বড় তারকা টানা ৭ মাস মাঠের বাইরে কাটান। এরপর গত এপ্রিলে ফিরে এলেও ততদিনে লিগ প্রায় শেষদিকে। সবমিলিয়ে গত মৌসুমে তিনি খেলতে পেরেছেন মাত্র ৭ ম্যাচ। ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষটা হতাশাজনক হলেও রোবেনের ফুটবল ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তার যুগের সবচেয়ে সেরাদের একজন মানা হয় তাকে। বিশেষ করে প্রতিক্ষের রক্ষণে গোলার মতো ঢুকে পড়া এবং অবিশ্বাস্য ড্রিবলিং তাকে ফুটবলের ইতিহাসে অমর করে রাখবে। ২০০২ সালে গ্রোনিঞ্জেন ছেড়ে পিএসভিতে যোগ দেন রোবেন। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে আইন্দোভেন-ভিত্তিক ক্লাবটি শিরোপা জেতার পর তাকে দলে ভেড়ায় চেলসি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের হয়ে ২টি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি এফএ কাপসহ ৬টি শিরোপা জেতার স্বাদ পেন রোবেন। ব্রুজদের জার্সিতে ১০৯ ম্যাচে ১৯ গোল করেছিলেন তিনি।২০০৭ সালে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে রোবেনকে কিনে নেয় রিয়াদ মাদ্রিদ। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমেই লা লিগা ও সুপার কোপা জেতেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় মৌসুমে তার পারফরম্যান্স প্রত্যাশা ছুঁতে না পারায় তাকে বায়ার্নের কাছে বেচে দেয় রোবেন। রোবেনের ক্যারিয়ার ঘুরে দাঁড়ায় বায়ার্নে যাওয়ার পর। অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় পা রাখার পর ৩০৯ ম্যাচ খেলে ১৪৪ গোল করেন তিনি। এই সময়ে তিনি ২০টি শিরোপা জেতেন, যার মধ্যে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ৮টি বুন্দেসলিগার শিরোপাও আছে। এছাড়া নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে ৯৬ ম্যাচ খেলে ৩৭ গোল করেছিলেন তিনি। ডাচদের ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার।