মৃত ২৫ জনের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর ১২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন জন, নাটোরের তিন জন, নওগাঁর দুই জন, পাবনার তিনজন এবং কুষ্টিয়ার এক জন ও যশোরের এক জন।
এর মধ্যে রাজশাহীর তিন জন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুই জন, পাবনা ও যশোরের একজন করে মোট সাত জনের করোনা পজিটিভ ছিল। রাজশাহীর দুইজন ও নওগাঁ এবং নাটোরের একজন রোগীর করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক অন্যান্য জটিলতায় করোনা ইউনিটেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১৪ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনা ইউনিটে মৃত ২৫ জনের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। তাদের মধ্যে রয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব নয়জন। এ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি মাসে ২৪৮ জনের মৃত্যু হলো। গত জুন মাসে হাসপাতালটিতে মারা গেছেন ৪০৫ জন।
বর্তমানে রামেক হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা ৪৫৪টি। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সেখানে ভর্তি ছিলেন ৫০০ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪ জন।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি ৫০০ জনের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর ২৭১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৯ জন, নাটোরের ৬৫ জন, নওগাঁর ৪৭ জন, পাবনার ৬৪ জন, কুষ্টিয়ার ১৬ জন, চুয়াডাঙ্গার তিনজন, জয়পুরহাটের দু’জন এবং মেহেরপুরের এক জন ও বগুড়ার এক জন এবং ঝিনাইদহের এক জন।
রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট রোগীর মধ্যে ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর ১৯৪ জন ভর্তি আছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এছাড়া করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন আরও ৭৪ জন।
এদিকে রামেক হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মোট ৬২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর ১৪৮ জন। বাকিরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বাসিন্দা। রাজশাহী জেলায় সংক্রমণের হার বেড়ে ৩৪ দশমিক ৬৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর নওগাঁর কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের করোনা শনাক্তের হার আবারও ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।