ল্যাব এইডের চিকিৎসক ছিলেন নাজনীন আক্তারের স্বামী আসারুজ্জামানের আপন ভাগ্নে আমিনুলকে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। ভর্তি করেন মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে। কিন্তু ২০০৫ সালের ৭ মার্চ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর নাজনীনকে কুপিয়ে হত্যা করেন ভাগিনা আমিনুল। পারুল নামে গৃহকর্মী তা দেখে ফেলায় তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এরপর তিনি বগুড়ায় চলে যান। সেখান থেকে ফরিদপুর জেলায়, তার কয়েকদিন পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় করা হত্যা মামলায় ২০০৮ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ আমিনুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ মৃত্যুদণ্ডদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আপিল করে আমিনুল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিল করে আমিনুল। শুনানি শেষে সোমবার আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।