আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের পরে দেশটিতে তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের তুমুল সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।কোনো কোনো স্থানে আফগান সৈন্যরা তাবানের অগ্রাভিযান প্রতিহত করেছে এবং কোনো কোনো জেলা তালেবানের দখলে চলে গেছে।দিকে কান্দাহার প্রদেশের সেনা কমান্ডার মোহাম্মাদ সাদেক ঈসা জানান, কান্দাহার শহরে তালেবান অস্ত্রধারীদের সঙ্গে তাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আফগান বিমান বাহিনীর হামলায় ৭০ জন তালেবান নিহত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তালেবান বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।গজনি শহরের আশপাশে শনিবার দিনভর সংঘর্ষ হয়েছে এবং গজনি সিটি করপোরেশনের একজন কাউন্সিলর বলেছেন, তালেবান অস্ত্রধারীরা বাড়িঘরে ঢুকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের সরকারি সেনাদের বিরুদ্ধে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি আরও বলেন, গজনি প্রদেশের মালেস্তান, নাহুর ও জাগুরি জেলায় তালেবানের কয়েক দফা হামলা প্রতিহত করেছে সরকারি সেনারা।বাগদিস প্রদেশের গভর্নর হিসামউদ্দিন শামস জানান, শুক্রবার (৯ জুলাই) রাত থেকে প্রদেশের ‘কালা নু’ শহরে আবার হামলা চালায় তালেবান। রাতভর সংঘর্ষের পর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে তারা পিছু হটে।আফগানিস্তানের ইরান সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশেও শনিবার সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। শুক্রবার তালেবান হেরাত প্রদেশের সঙ্গে ইরানের সীমান্তবর্তী স্থলবন্দর ‘ইসলাম কালা’ দখল করার পর শনিবার এই প্রদেশের আরও কয়েকটি জেলা বিনা সংঘর্ষে তালেবানের দখলে চলে গেছে।গত ২৪ ঘণ্টায় তালেবানের হাতে হেরাত প্রদেশের কারখ, কাহসান, গোলরান, কাশকে কোহনে, কাশকে রোবাত সাঙ্গিন, শিনদাঁদ, আদরাসকান ও পাশতুন জারগুন জেলার পতন হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে তালেবানের বরাত দিয়ে কোনো কোনো পশ্চিমা গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, আফগানিস্তানের শতকরা ৮৫ ভাগ এলাকা তালেবান দখল করে নিয়েছে। তবে আফগান সরকার এ খবরের সত্যতা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তালেবান যদি এত বিশাল অঞ্চল দখল করতো, তাহলে তাদের নেতারা এখনো পাকিস্তানে অবস্থান করতেন না।আফগানিস্তানে ২০ বছরের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে যখন মার্কিন সেনারা দেশটি থেকে চলে যাচ্ছে তখন আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর আসছে।