তারা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের সাবেক সিইও সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের সাবেক পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মিটফুল করিম, ব্যারিস্টার মো. আশরাফ আলী ও এনামুল হাসান এফসিএ।
এ পরিচালকদের নামের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে ও প্রত্যেক বোর্ড মিটিংয়ে যোগদানের জন্য তাদের সম্মানী হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে দিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের দেওয়া ১৬ জুনের এ আদেশ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
আদালতে কোম্পানিটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, কোর্ট কিছু ব্যক্তির নাম দিয়ে জানতে চাইলো এদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে কিনা। সেটা দুদককে দিলাম। দুদক দেখলো তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে। কোনো উপযুক্ত আদালত থেকে জামিন না নেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। এ অবস্থায় তারা কোম্পানি চালাবে কীভাবে। এরপর আদালত কয়েকজন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেন।
আইনজীবীরা জানান, প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন এমন আলোচনা ওঠার পর এ কোম্পানিটির অবসায়নে একটি পিটিশন ছিল হাইকোর্টে। হাইকোর্ট গত বছরের ১৯ জানুয়ারি একটি অর্ডার দিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছু ডিরেকশন ছিল। এ কোম্পানির যে চেয়ারম্যান আছে তাকে অপসারণ করে সেখানে নতুন নিয়োগ দেওয়া হলো। কোম্পানির ডিরেক্টরসহ কর্মকর্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আদেশ দেওয়া হয়।