ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম কলম্বিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইভান ডুকে মারকুয়েজের কাছে অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।শনিবার (৩ জুলাই) ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌছে দেন।কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও কলম্বিয়ার মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান উল্লেখ করে তিনি বলেন, উভয় দেশ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, মানবাধিকার, টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অভিন্ন মত পোষণ করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ কাজে লাগানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সমর্থন দেওয়ার জন্য কলম্বিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সহযোগিতা ও সামগ্রিক সম্পর্ক গভীরতর করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।রাষ্ট্রপতি মারকুয়েজ জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিতে সম্মতি জানান। ভার্চ্যয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবে বাংলাদেশ।কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি মারকুয়েজ দুইদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দু’দেশ তাদের অভিন্ন লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে একযোগে কাজ করবে।এর আগে রাষ্ট্রদূত কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্টা লুসিয়া রামিরেজের আমন্ত্রণে এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।তারা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কোভিড অতিমারির সঙ্গে আগত সংকটসমূহ মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সমস্যা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে রাষ্ট্রদূত কলম্বিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো এচেভেরি লারা এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।