বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮ সালে আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের ওপর ওই বিভাগের এক নিয়োগপ্রার্থী রিট করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইজীবী মোবাশ্বের হোসেন ভূঁইয়া।
রুলে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, রেজিস্ট্রারসহ নিয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি নিশ্চিত করে মোবাশ্বের হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা করা হয়। পরবর্তীকালে ২০১৭ সালে এই নীতিমালা কমানো হয়। ২০১৮ সালে আইন বিভাগে সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিয়ে তিন জন শিক্ষককে নিয়োগ হয়। ওই নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর গোল্ড মেডেল পাওয়া নুরুল হুদাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নিম্নমান সম্পন্নদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইন বিভাগের সেই নিয়োগ ও ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা এবং সিন্ডিকেটে অনুমোদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করছিলাম। মহামান্য হাইকোর্ট রিটের শুনানি শেষে কেন আইন বিভাগের নিয়োগ ও শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।প্রসঙ্গত, রাবির সদ্য বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৭ সালের আগের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করে নিম্নগামী করেন। নতুন নীতিমালায় ২০১৮ সালের আইন বিভাগে প্রভাষক পদে তিন জন শিক্ষকের নিয়োগ হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন– উপ-উপাচার্যের জামাতা সাইমুন তুহিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডুর মেয়ে নূর নুসরাত সুলতানা। অন্যজন রাবির আইন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী বনশ্রী রানী। এই নিয়োগপ্রাপ্তদের চেয়ে বেশি সিজিপিএ থাকার পরেও নিয়োগ পাননি মোহাম্মদ নূরুল হুদা।
২০১৯ সালে আইন বিভাগের নিয়োগ নিয়ে নুরুল হুদার স্ত্রীর সঙ্গে রাবির উপ-উপাচার্যের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে দরকষাকষি করতে শোনা যায়। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের ২০ জুন ‘মো. নুরুল হুদা বনাম বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য’ শিরোনামে রিট পিটিশনটি দাখিল করেন নুরুল হুদা। রিট পিটিশন নম্বর ৫৬৮৭/২১। সেই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ এই রুল জারি করেন।