আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না: ফখরুল

আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না: ফখরুল
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু সময়ের অপেক্ষা, মানুষ যেদিন জেগে উঠবে সেদিন আওয়ামী লীগ পালাবার কোনো পথ খুঁজে পাবে না।
রোববার (২৭ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার ধ্বংস করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে লুটপাটের অর্থনীতিতে পরিণত করেছে এবং সর্বোপরি স্বাধীনতার মূল লক্ষ্যকে বিনষ্ট করে দিয়েছে। কোন দিকে পালাবে তুমি? কোনো দিকে পথ নেই, উত্তরে উত্তর পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর—আওয়ামী লীগের অবস্থাটা অলরেডি এই হয়ে গেছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা, মানুষ যেদিন জেগে উঠবে, সেদিন আওয়ামী লীগ পালাবার কোনো পথ খুঁজে পাবে না।

‘বিএনপির ভবিষ্যত কুয়াশাচ্ছন্ন’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবাদুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভবিষ্যত নিয়ে ওনারা এত উদ্বিগ্ন কেন? কারণ তারা মনে করেন যে, বিএনপিই হচ্ছে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা জনগণের ইচ্ছা, আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। বিএনপিই একমাত্র দল যারা এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আমি খুব সংক্ষেপে বলতে চাই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ ঘোরতর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত। এজন্যে যে, আওয়ামী লীগ যে কাজগুলো করছে এবং ইতোমধ্যে করেছে গোটা জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ তো সহযোগিতা করতে চায়, আপনারা তো জনগণকে সুযোগ দিচ্ছেন না। আপনাদের চরম দুর্নীতি ও অযোগ্যতার কারণে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভারতসহ বিশ্বের সব দেশ করোনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে। আর আমাদের সরকার কোথা থেকে তাদের দুটি পয়সা ইনকাম হবে সেই চিন্তায় সব মানুষকে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সুতরাং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

সরকারের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া লকডাউন-সাধারণ ছুটিকে তামাশা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটাকে কেন তামাশা বলব না। এর আগে লকডাউন দিল, সাধারণ ছুটি দিল-তাতে সাধারণ শ্রমিকরা গেল আবার ফিরে এলো। এখন একটা লকডাউন চলছে, জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ। যার ফলে মানুষ হেঁটে যাচ্ছে, হেঁটে আসছে। একদল লোক যাচ্ছে, মনে করছে সাতদিন ছুটি। আর একদল লোক ঢাকায় ফিরছে। এই ব্যাপারগুলো আগে চিন্তা করবে না? প্রথমে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বললেন, একটা কঠিন লকডাউন হবে। এটা নিয়ে মানুষ বলছে, এরপরে কী হবে, কঠিন লকডাউন হবে। এরপর হচ্ছে নেত্রীর লকডাউন। এরপর কী হবে, আল্লাহর কসম লকডাউন। এরা আর কী করবে? এটাই করছে। এখন আবার বলছে, সোমবার থেকে নয়, বৃহস্পতিবার থেকে। ইটস ফান, তামাশা তো সেজন্যই বলছি!

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সন্দ্বীপে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

বাংলাদেশ ইসকন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, বিতর্কিত মৎস্য কর্মকর্তাকে বদলি