চট্টগ্রাম: নগরের বাকলিয়া থানাধীন মৌলভি বাড়ির কবরস্থানে সাইনবোর্ড টাঙানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার মূল হোতা এয়াকুবসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় সিএমপি উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপ-কমিশনার (ডিসি) বিজয় বসাক এ তথ্য জানান। গ্রেফতার তিনজন হলেন- মৌলভী আব্দুল গফুর রোডের হাজী মো. ইসলাম সওদাগরের ছেলে মো. এয়াকুব (৫০), বলিরহাট ঘাটকুল মাঝির বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমান প্রকাশ আবু’র ছেলে মো. ওসমান আলী (৩৫) ও বলিরহাট সানোয়ারা স্কুল হাজী মালেকুজ্জামান সওদাগর বাড়ির হাজী মুন্সী মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ আলম (৩৬)।উপ-কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, কবরস্থানে সাইনবোর্ড টাঙানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার মূল হোতা ইয়াকুবসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৌলভি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানটিতে কবর দেওয়ার জন্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মৌলভি বাড়ি থেকে সামান্য দূরে হওয়ায় স্থানীয় একটি পক্ষ কবর দেওয়াকে ব্যবসায় পরিণত করেছে।
এসময় সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) শাহ মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছে তাদের শনাক্ত করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়াকুবকে মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থেকে প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় জনগণের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা হয়। ভূমিদস্যু মো. ওসমান আলী (৩৫) ও মো. মাসুদ আলমকে ঢাকা মহানগর পল্টন থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আব্দুল লতিফ হাটখোলা চাঁন্দগাজী রোডের শেষ মাথা খালের দক্ষিণ পাশে অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিল আসামিরা। সেখান থেকে ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ২টি লম্বা কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার আব্দুল লতিফ হাটখোলা রোডে বড় মৌলভী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বিনামূল্যে কবর দেওয়া হয় উল্লেখ করে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে এলাকার ভূমিদুস্য ইয়াকুব, ওসমান গং অস্ত্র নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইব্রাহিমের পরিবারের ওপর হামলা চালায়।