বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ফার্মাসিউটিক্যাল, রেডিমেট গার্মেন্টস ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠিত খাত ছাড়াও আমাদের আইসিটি, দক্ষতা উন্নয়ন, প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, মাছ ও শাক-সবজি, তাজা ফল, প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য, জনশক্তি রপ্তানিসহ অনেক সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে যেগুলোর গুরুত্ব রয়েছে কুয়েতসহ সব আন্তর্জাতিক বাজারে। বিপুল সম্ভাবনাময় এসব খাতগুলোকে কুয়েতসহ আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করার জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কোয়ালিটি পণ্য আনার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। সভা, সেমিনারসহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় আয়োজনে এফবিসিসিআই বোর্ড কাজ করবে। যা কিছুই আমরা তৈরি করি সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। ফোকাস অরিয়েন্টেড হতে হবে। কুয়েতের বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষেত্র গুলো চিহ্নিত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে সহযোগিতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং করোনা মহামারিতে শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠন কর্তৃক গৃহীত অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়েও রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগাযোগের অভাব রয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থ এবং অংশীদারিত্বের সুবিধার বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালক আবু নাসের, এস এম শফিউজ্জামান, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর সিওও মাহবুবুল করিম, এফবিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং বায়রার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।