চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত এক গরু ব্যবসায়ী গলাই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।রোববার (২০ জুন) ভোরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।নিহত আব্দুর রাজ্জাক আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ি গ্রামের সাহাজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। সম্প্রতি তার করোনা শনাক্ত হওয়ায় লজ্জা ও ঘৃণায় আবদুর রাজ্জাক আত্মহত্যা করেন বলে জানান এলাকাবাসী। জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক সম্প্রতি ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে গত ১৬ জুন তার করোনা পজেটিভ আসে। ডাক্তারের পরামর্শে তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী ময়না খাতুন জানান, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তার স্বামী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে সুস্থই ছিল। তিনি আলাদা ঘরে থাকতেন। ভোরেও তার কাশির শব্দ শুনতে পাই। কিন্তু সকালে তাকে ডাকতে গিয়ে দেখি ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে তিনি ঝুলছেন। স্থানীয় জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন জানান, করোনা শনাক্ত হলে ১৭ জুন তার বাড়িতে লা পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়। রোববার সকালে তার আত্মহত্যার খবর পাই। তার ধারণা গরু ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার কারণে লজ্জা ও ঘৃণায় আত্মহত্যা করেছেন। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান, করোনা আক্রান্তের পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। রোববার ভোরে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকির পরও কাছে না পেয়ে রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।