চীনে ফেরার অপেক্ষায় পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা

চীনে ফেরার অপেক্ষায় পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে অধ্যয়নরত হাজার হাজার পাকিস্তানি বেইজিংয়ের প্রত্যাবর্তনের সবুজ সংকেত পাওয়ার অপেক্ষা করছে। বৃত্তি স্থগিত করা হয়েছে বলে অনেকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।তারা ভয় পাচ্ছে যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের পড়াশোনা শেষ হবে না।  যদিও বেইজিং করোনা মহামারি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং অন্যান্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা সেই অনুমতি পায়নি।  বেইজিং টেকনোলজি অ্যান্ড বিজনেস ইউনিভার্সিটির খাদ্য বিজ্ঞানে পিএইচডি করা লাহোরের বাসিন্দা হিনা ফাতিমা ডিডাব্লুকে বলেন, আমি ২০১৯ সালে বৃত্তি ব্যবহারের জন্য আমার চাকরি ছেড়েছিলাম।ফাতিমা বলেন, আমি পাকিস্তানে আটকে পড়েছি, চাকরি খুঁজে পাচ্ছি না এবং আমার ডিগ্রি শেষ করতে কত সময় লাগবে তা নিয়ে চিন্তিত।  তিনি আরও বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষও আমার বৃত্তি বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে অপরিসীম আর্থিক কষ্টের মধ্যে আছি।  ফয়সালাবাদের বাসিন্দা আব্দুল সাঈদ চীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে পিএইচডি করেছেন। তিনি বলেন, চীনে পড়ার জন্য চাকরি ছাড়ার পর এই বৃত্তিই তার পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস। এক বছর আগে স্টাইপেন্ড বন্ধ হওয়ার পর থেকে অর্থ কষ্টে আছি।  মহামারির শুরুতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক ক্ষোভের সম্মুখীন হয়, কারণ কর্মকর্তারা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিতে অস্বীকার করে।কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপের পর সরকার নমনীয় হয় এবং তাদের দেশে ফেরার অনুমতি দেয়।  চীন-পাকিস্তান বন্ধু রাষ্ট্র হলেও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা মনে করে যে তাদের ক্ষেত্রে চীন বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ১৯৬টি দেশের মোট ৪,৯২,১৮৫ জন শিক্ষার্থী চীনে অধ্যয়নরত ছিল।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

আনন্দ মুখর পরিবেশে কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ফল উৎসব অনুষ্ঠিত

নীলফামারীতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালিত