ঢাকা: ১৮ বছর বয়সসীমার ঊর্ধ্বে জনগণের সব অংশকে টিকা দেওয়ার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সংগঠনটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর ভার্চ্যুয়াল সভা থেকে এ দাবি করা হয়।সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির গৃহীত করোনা অতিমারি মোকাবিলায় জীবন ও জীবিকা রক্ষায় জনগণের পাশে দাঁড়াতে ১৮ দফা নির্দেশনা কর্মসূচি সম্পর্কে রিপোর্ট তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।সভা থেকে বলা হয়, সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা যোগানের কথা বললেও বাস্তবে টিকা পাওয়ার তেমন কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা হতাশায় পরিণত হচ্ছে। টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে হঠাৎ টিকাদান স্থগিত রাখায় সরকারের টিকাদান কর্মসুচির প্রাথমিক সাফল্যকে যেমন ম্লান করেছে তেমনি জনগণের জীবন ও জীবিকাকেও ঝুঁকিতে ফেলেছে। করোনা প্রতিরোধে অবিলম্বে জনগণের সব অংশকে টিকাদান করতে হবে এবং টিকাদানের বয়সসীমা ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে করতে হবে। করোনা সংক্রমণ রোধে এ মুহূর্তে টিকাই হচ্ছে প্রধান বিকল্প।সভা থেকে টিকা নিয়ে রাজনীতি ও কূটনীতি বাদ দিয়ে যেকোনোভাবে পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহ করে তা দেশের মানুষকে দিয়ে টিকাদান কর্মসূচির একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তেরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।সভার প্রস্তাবে আরো বলা হয়, করোনা সংক্রমণে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে উদ্ধার পেতে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন- আনিসুর রহমান মল্লিক, সুশান্ত দাস, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরুল আহসান, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বশিরুল আলম, নজরুল ইসলাম হাক্কানী, আলী আহমেদ এনামুল হক এমরান প্রমুখ।