তিনি বলেন, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশী আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনোভাবেই মনোনয়ন পাবে না। দুদকের তথ্য প্রমাণের অভাবে অনেক মামলা এগুচ্ছে না, কাজেই ঢালাও ভাবে অভিযোগ না করে এবং অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ দিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি করে যারা দেশ-বিদেশে অর্থ পাচার করেছে বা সম্পদ গড়েছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যম বান্ধব সরকার। সাংবাদিক সমাজের সুখ দুঃখের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে আছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণমাধ্যমের ব্যাপক সম্প্রসারণ সরকারের উদারনীতির সাক্ষ্য বহন করে। করোনাকালে মিডিয়াকর্মীদের বন্ধু ও স্বজন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পাশে দাঁড়িয়েছেন। পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক সুরক্ষায় নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আইনগত সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হবে না।
বিএনপির উদ্দেশ্যমূলক ও উসকানিমূলক বক্তব্যের বিপরীতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের বিপক্ষে কোনো কাজ শেখ হাসিনা সরকার করেনি, করবেও না। বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের রেকর্ড গড়েছিলো তারা এবং তাদের শাসনামলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার অভিযোগও এনেছিলো বিএনপি। গণমাধ্যমের সেই শত্রু ও নির্যাতনকারী বিএনপি আজ সাংবাদিকদের বন্ধু সেজেছে। তাদের মুখোশ সবার জানা, বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের উসকানি দিয়ে বিদ্যমান স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ হবে না বলেও জানান তিনি।