রাজশাহীতে লকডাউনেও ঝরল ১২ প্রাণ, বাড়ছে শনাক্ত

রাজশাহীতে লকডাউনেও ঝরল ১২ প্রাণ, বাড়ছে শনাক্ত
চলবে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। সর্বাত্মক লকডাউনে কেবল কাঁচাবাজার ছাড়া কোনো কিছুই খোলা নেই। এতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো রাজশাহী। অথচ করোনার সংক্রমণ রোধে এর তেমন কোনো প্রভাব এখনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রতিদিনের গড় মৃত্যু এখন আট জন থেকে বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে।রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর গত ৪ জুন সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল রামেক হাসপাতালে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানী বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মৃত ১২ জনের মধ্যে আট জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য তিন জন মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে। মৃত ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর তিন জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাত জন ও নওগাঁর এক জন ও নাটোরের এক জন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন রোগীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এলেও উপসর্গ নিয়ে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৩২৫ জন। অথচ করোনা ইউনিটে বর্তমানে শয্যা সংখ্যা ২৭১টি। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর এই চার জেলার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও বলেন, বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। তখন সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন