সিলেট: সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন না ভেঙে সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।শুক্রবার (১১ জুন) নগর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম।
তিনি বলেন, আপাতত আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত মার্কেটগুলো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা করছি। শাবিপ্রবির শিক্ষক ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে এখন কাজ করছেন। প্রথম দিনই নগরীর মধুবন সুপার মার্কেট, মিতালি ম্যানশন, সমবায় ভবন, সিটি সুপার মার্কেট, রাজা ম্যানশন, সুরমা মার্কেট এবং দরগাহ গেট এলাকার হোটেল আজমেরীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। শুক্রবার একটি পর্যবেক্ষণ দল নগরীর দু’টি ভবনে পরীক্ষা করেছে দলটি।
তিনি আরো বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। অবশ্য বিশেষ কিছু না হলে ভাঙার পরিকল্পনা না করে ভবনগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। ভূমিকম্প ঝুঁকির শহরে ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সেদিকে দৃষ্টি রেখেই কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নগরের সব ভবনের সক্ষমতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।এ বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।এর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন নিয়ে করণীয় ঠিক করতে বুধবার (৯ জুন) বিকেলে শাবিপ্রবিতে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করতে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তে পৌঁছান শাবিপ্রবির বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৯ মে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪ দফায় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে সিলেট। পরদিন ৩০ মে ভোর রাতে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত সোমবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় ফের দুই দফা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিলেট। ফাটল দেখা দেয় স্কুল ভবনসহ বাসা বাড়িতে। এরপরই নড়েচড়ে ওঠেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) কর্তৃপক্ষ। ভবনের অনুমোদন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করলে জোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সিসিক।