ইয়াসের তাণ্ডবে বেশকিছু ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২টি ঘর সম্পূর্ণ ও ৭৫৬টি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এতে ঘরের মালিকদের এক কোটি ৫১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইয়াসে বিভিন্ন গৃহস্থের ৩৮৩টি হাঁস ও ৮৯২টি মুরগি মারা যাওয়ায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০৪ টাকা। শস্য ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হয়ে কৃষিবিভাগের ক্ষতি হয়েছে ৬৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা। বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিদ্যুৎ লাইন ও বেশকিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার টাকার।এসব ছাড়াও ইয়াসের প্রভাবে জেলার ৯ উপজেলায় ৪৩টি নলকূপ ও ১ হাজার ৭০৫টি টয়লেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হিসেবে এতে এক কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে নার্সারিতে পানি উঠে বনবিভাগের ক্ষতি হয়েছে ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মাদরাসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি হাসপাতালের অবকাঠামো আংশিক ক্ষতি হয়েছে। যা মেরামতে ব্যয় হবে এক লাখ টাকা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো নষ্ট হয়ে অন্তত ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম বলেন, ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। ৭৫টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভায় দুই কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৯টি উপজেলার প্রত্যেকটিতে শিশু খাদ্যের জন্য এক লাখ এবং গো খাদ্যের জন্যে এক লাখ টাকা করে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। সহযোগিতা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকের তালিকা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই ক্ষতিপূরণ পাবে বলে জানান তিনি।