ঢাকা: আগামী ৫-১৯ জুন পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়ােজিত কেন্দ্রীয় এ্যাডভােকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় রাজধানীর নগর ভবনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।ডিএসসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সকলকে সচেতন করতে চাই যেন আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়।সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, এটি একটি জাতীয় ক্যাম্পেইন। সকলের প্রতি আহ্বান এই সচেতনতা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হবার জন্য। স্বাস্থ্যকর্মীদের বলবো শিশুরা আসার পরেই যেন টিকাগুলো খোলা হয়। এছাড়া টিকা খোলা বা শিশুকে টিকা খাওয়ানোর সময় স্যানিটাইজার নয় বরং সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ভালো করতে গিয়ে যেন খারাপটা না হয়।সভায় অবহিত করা হয় যে, আগামী ৫-১৯ জুন পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ৪৯ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৫০ জন শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ (২,০০,০০০ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানাের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরােধে ক্যাম্পেইন পরিচালনায় কেন্দ্রসমূহে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা আবশ্যক। যেমন- মুখে মাস্ক পরা, সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালভাবে বার বার দুই হাত ধৌত করা/হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে বার বার হাত পরিষ্কার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা।কর্মসূচির দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার ৯৭৪ স্বেচছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচী পালন করা হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকারের সরবরাহকৃত এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমােদিত ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষিত এবং শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।এ সময় জাতীয় পুষ্টি সেবা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি এবং রোটারী ক্লাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধিরাও সভায় অংশ নেন।