নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৬১৯ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭১০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৫৪০ জনে।সোমবার (৩১ মে) বিকেলে বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন।সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০৩ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৯ টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪ টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩০ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৮৬২ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ১৭৮ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৩ টি।গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন ও সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন ও বাড়িতে ২ জন মারা গেছেন।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন।এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬২৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৩৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৬ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৯৪ জন।এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।