সাভার : সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে যুবককে আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য এক জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।শনিবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পবিত্র কুমার মালাকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সাহাজাদী তাহমিদা। গ্রেফতার ছয়জন হলেন- ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তারাগুনা এলাকার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ধামঘর এলাকার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪) ও বগুড়া জেলার ধুনট থানার খাটিয়ামারি এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫) ও বগুড়া জেলার ধুপচাচিয়া থানার জিয়ানগর গ্রামের সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই তুরাগ থানার কামারপারা ভাসমান এলাকায় ভাড়া থেকে আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।এএসআই পবিত্র কুমার মালাকার বলেন, শুক্রবার (২৮ মে) দিনগত রাতে আশুলিয়ায় বাসে ধর্ষণের ঘটনায় বাসচালক, হেলপারসহ ওই ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বাসচালক সুমন ছাড়া সবাইকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সুমন জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে রিমান্ড না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।শুক্রবার (২৮ মে) রাত ১টার দিকে আশুলিয়া-সিঅ্যান্ডবি বাইপাস সড়কের আশুলিয়া গরুর হাট এলাকায় একটি মিনিবাস থেকে নারীর চিৎকার শুনে টহল পুলিশ গাড়িটি থামায়। সে সময় গাড়ির ভেতরে থাকা ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়— তিনি (তরুণী) শুক্রবার (২৮ মে) সকালে চাষাড়া থেকে মানিকগঞ্জে বোনের বাসায় বেড়াতে যান। রাতে পুনরায় চাষাড়া যাওয়ার উদ্দেশে নবীনগর আসেন। পরে সেখানে তার পূর্বপরিচিত এলাকার ভাই নাজমুলের সঙ্গে দেখা হলে একসঙ্গে তারা টঙ্গী যাওয়ার জন্য একটি মিনিবাসে (ঢাকা মেট্রো জ-১১-১৬৪৮) উঠেন। বাসটি আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার কিছু আগে সব যাত্রী নেমে যায়। পরে বাসটিতে থাকা তাকে ও তার পূর্বপরিচিত নাজমুলকে নামতে দেননি চালক ও হেলপার। পরর্বতীকালে ওই বাসটির হেলপারের সঙ্গে আরও চারজন বিভিন্ন জায়গা থেকে গাড়িটিতে উঠেন। পরে নাজমুলকে আটকে রেখে হেলপারসহ মোট ছয়জন চলন্ত বাসে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ছয় জনের নামে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।