চট্টগ্রাম: প্রায় ৮শ জন ডিম সংগ্রহকারী, ৩শ নৌকা। রয়েছেন ইন্টিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) এর ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির ১৮ জন শিক্ষার্থী।প্রস্তুত আছেন উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশের ১২ জন সদস্য। সবার অপেক্ষা ভারি বৃষ্টির জন্য। বৃষ্টি হলেই ঢলের প্রকোপ বাড়বে হালদায়। তখন ডিম ছাড়বে মা মাছ। হালদা নদীতে গত বছরের ২২ মে ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। ভারি বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে মা মাছ ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ পেয়েছিল। ফলে রেকর্ড পরিমাণ ডিম সংগ্রহ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক ও হালদা গবেষক প্রফেসর মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, এবার হালদার পরিবেশ খুব ভালো। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে কলকারখানা বন্ধ থাকায় দূষণ অনেকটা কম। আশা করছি, ভারি বৃষ্টিপাত হলে হালদায় ডিম ছাড়বে মা মাছ।পোনা আহরণকারীদের বরাত দিয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত ১২টার পর হালদার আজিমের ঘাটা, নাপিতের ঘোনা, স্লুইসগেট, মাছুয়াঘোনা, নোয়াহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে। প্রায় ২-৪ কেজির মতো নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছেন প্রত্যেক ডিম সংগ্রহকারী। হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করতে গত আড়াই বছরে ১৬৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি।ডিম সংগ্রহকারী আব্দুল কাদের ও আলী আকবর বলেন, নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছি। পানি বৃদ্ধির কারণে মাছ পুরোপুরি ডিম ছাড়ছে না। এখন শুধু অপেক্ষা করছি ভাটার। ভাটা হলে পানি কমবে। তখন একটু সম্ভাবনা রয়েছে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার সরকারি চারটি হ্যাচারি থেকে কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ হাজার কেজি ডিম পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডিম সংরক্ষণে অনেকে মাটির কুয়াও প্রস্তুত করছেন।