বরগুনা প্রতিনিধি : হারা রাইত ঘুমাইতে পারি নাই, কোন সময় কি অইয়া যায় এই চিন্তায়। সকাল থেকেই ঘরের মালামাল আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়া যাওয়া শুরু করছি।এবার পানি আইলে সব শ্যাষ অইয়া যাইবে। কথাগুলো বলছিলেন বিষখালী নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধে বসবাসকারী রহিমা বেগম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরসহ নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় রহিমা ও জাহানারা বেগমসহ অসংখ্য বাঁধবাসীদের বসতঘর তলিয়ে গেছে এমনকি অনেক ঘরবাড়ির মাটি সরে গিয়ে ভেঙে গেছে।কথা হয় বিষখালী নদী সংলগ্ন বাসিন্দা রহিমা বেগমের জানান, পানির চাপে তার বসতঘরের মাটি ধসে আংশিক ভেঙে গেছে। এবার পানি আইলে সব শ্যাষ অইয়া যাইবে। সকাল থেকেই ঘরের সব মালামাল আত্মীয় বাড়িতে রেখে দিয়েছি। একমাত্র থাকার সম্বলটুকু যদি শ্যাষ হয়ে যায় তার আর বেঁচে থাকার কোনো রাস্তা নেই বলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান তিনি।এদিকে প্রতিবেশী জাহানারা বেগম ও তার স্বামী শহিদুল ইসলাম জানান, আমাদের বসার ঘরটি খুব ঝুঁকিতে রয়েছে যেকোনো সময় বাতাস আইলি ঘর উড়াইয়া নিয়া যাইবে আর পানি আইলে ভাসাইয়া নিয়া যাইবে।এ বিষয় পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং ইতোমধ্যে বিষখালী নদী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসন প্রকল্প পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে সব ইউনিয়নে আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এরকম কোনো খবর পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে আমাদের পর্যাপ্ত শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।