শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি!

শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি!
সিরাজগঞ্জ শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা সড়কের বাজার স্টেশন কড়িতলা থেকে মাছুমপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ’ মিটার এলাকার চিত্র এটি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়া অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণ এবং বাজারের বর্জ্য অপসারণের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় দুই বছর ধরে সড়কটি নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ অঞ্চলের জনগণকে। এ দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায় বৃষ্টির মৌসুমে।খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির মাঝখানে ছোটবড় অসংখ্য খানাখন্দে জমে রয়েছে বৃষ্টির পানি ও কাদা। বড় কিংবা মাঝারি যানবাহন চলার সময় পথচারী ও সবজি বিক্রেতাদের শরীরে ছিটে লাগছে কাদাযুক্ত পানি। অপসারণ না করায় জমে থাকা ময়লার স্তূপগুলো পচে জনদুর্ভোগ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ স্তূপের কারণে সৃষ্ট দুর্গন্ধযুক্ত কাদায় হাঁটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

রফিকুল, রুবেল ও রমজান আলীসহ একাধিক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় পানি আর কাদায় মনে হয় ধানক্ষেত। তাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। মাঝে মধ্যে মানুষের খুব ভিড় থাকে। তখন রিকশা নিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর হয়ে যায়।  বেসরকারি চাকরিজীবী সালাউদ্দিন, ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, দোকানদার লিটনসহ অনেকেই বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পর এ সড়কটি দিয়ে হেঁটেও চলাচল করা দায় হয়ে যায়। এখান দিয়ে হাঁটলে পথচারীর জামা-কাপড়ে কাদা লাগবেই। সড়কের পাশে সবজি বাজার। সেখানকার ময়লা আবর্জনাও ফেলে রাখা হয় সড়কে। সেগুলো অপসারণ না করার ফলে রাস্তার মাঝখানে ময়লার স্তূপ হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়।  বাজার স্টেশন এলাকার সবজি ও মাছ বিক্রেতারা বলেন, মাছ-মাংস ও সবজির জন্য শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় এলাকা এ বাজার। এখানে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন। এ সড়কটি ঘিরেই চলে বেচাকেনা। বৃষ্টি হলে বিক্রেতাদের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদেরও দুর্ভোগে পড়তে হয়।  স্থানীয় সচেতন মহল মনে করে, সড়কটি দিয়ে শহর ছাড়াও ও পার্শ্ববর্তী কালিয়া হরিপুর, শিয়ালকোল ও কামারখন্দের ঝাঐল ইউনিয়নের লোকজন যাতায়াত করে। এছাড়া শহরের অধিকাংশ মানুষ কাঁচা বাজার করেন এ সড়কের পাশের রেলওয়ে স্টেশন বাজার থেকে। এ সড়কটি নির্মাণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় বৃষ্টির পানি রাস্তার ওপরই জমে থাকে। তার ওপর সংস্কারের অভাবে ছোট-বড় একাধিক খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি খানাখন্দে জমে থাকে। ফলে ট্রাক, বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। মাঝে মধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, সবজি বিক্রেতাদের ফেলে দেওয়া আবর্জনা নিয়মিত অপসারণ না করাতেও সড়কটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।  এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ফুটপাথ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ প্রায় আড়াইশ’ মিটার রাস্তাটি টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু করা হবে।   শিগগিরই এ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেন পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন