ঈদের ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যেতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে যাত্রীরা আসছেন শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় থ্রি হুইলারে করে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হচ্ছে।
এদিকে বুধবার ঘাট এলাকায় নারী ও শিশু যাত্রীর সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে অন্যান্য দিনের চেয়ে। ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা এসেছিলেন তাদের পরিবারের সদস্যরাই এখন ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। এ কয়দিন রোদের কারণে শিশুদের নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন ঘাট এলাকায়। তাই আজ রোদ কম থাকায় ভোর থেকেই যাত্র শুরু করেছেন তারা।
মো. হামিদ মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, ভোরে গরম কম থাকায় রওনা দিয়েছি। কিছুটা স্বস্তি নিয়ে পদ্মা পার হতে চাই।মো. রহমান মোল্লা বলেন, ছুটি শেষ হয়েছে। গিয়েই কাজে যোগ দিতে হবে। আজ ভোরে বের হয়েছি, গরম বেড়ে যাওয়ার আগেই যেন পৌঁছে যেতে পারি।আনোয়ারা বেগম বলেন, সকাল সকাল বের হয়েছি ভেবেছি ভিড় কম হবে কিন্তু উল্টো চিত্র ঘাটে। বাচ্চাদের নিয়ে ঘাটে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। ফেরিতে উঠতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘাটে।বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে, নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে সহনীয় পর্যায়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে। যাত্রীর চাপ বেশি রয়েছে। তবে যানবাহনের সংখ্যা কম।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনে করে ঘাটে আসছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র ফেরিতে পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে ফেরির সংখ্যা বেশি থাকায় কিছুটা দুর্ভোগ কম রয়েছে ঘাটে। শিমুলিয়া থেকে আসা ফেরি দ্রুত আনলোড করে যাত্রী তোলা হচ্ছে।চরজানাজান নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বুধবার ভোর থেকেই মোটামুটি চাপ তৈরি হয়েছে ঘাটে। ফেরিতে যাতে অধিক যাত্রী নিয়ে গাদাগাদি না হয়, সেদিকটা খেয়াল রাখা হচ্ছে।বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, যাত্রীদের চাপ আরো দুই/তিন দিন বেশি থাকবে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দ্রুত ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে ফিরে আসছে।