নিজস্ব প্রতিবেদক : গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা খাল ও জলাশয়গুলো দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।একই সঙ্গে রাজধানীতে ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতিরঝিলের সব বন্ধ স্লুইসগেট খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।মঙ্গলবার (১৮ মে) মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা মহানগরীর খাল এবং প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চ্যুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ২৬টি খাল দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায়, খালগুলো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাহিরেও রাজধানীতে ১৭টি খাল রয়েছে। এ খাল ও জলাশয়গুলো ঢাকা উত্তর সিটি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।তিনি জানান, হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ/সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।এছাড়া, দুই সিটি কর্পোরেশন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খাল ও জলাশয়গুলোর সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণে তাদের পরিকল্পনার কথা জানাবেন। আশা করছি ঢাকা ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত খালের ন্যায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত খালগুলো সংস্কার-সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।তিনি বলেন, নগরীর অনেক বাসা-বাড়ির মালিক তাদের নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না রেখে সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে দিয়ে থাকেন। এসব বাসার মালিকরা যদি নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না তৈরি করে তাহলে আগামীতে এসব লাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।তিনি বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে রাজধানীর সব খালগুলো দখলমুক্ত, সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া মশার প্রজনন ঠেকাতেও খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি।সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদ, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ/সংস্থা ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা যুক্ত ছিলেন।