শিউলী আক্তার বলেন, ঈদের আগের দিন বাড়ি গিয়েছিলাম। গতকালকেই কাজে যোগ দেওয়ার কথা। একদিন বেশি থেকেছি বাড়িতে। আজ ভোরে বের হয়েছি, গরম বাড়ার আগেই যাতে যেতে পারি।
মিজানুর রহমান বলেন, টাকা পয়সা শেষ হয়ে আসছে। তাই চলে যাচ্ছি। বাড়িতে এলে ঢাকায় আর যেতে ইচ্ছা করে না। বাধ্য হয়েই যাই।
পোশাক কারখানার শ্রমিক রেজাউল করিম বলেন, ছুটি শেষ হয়েছে। তাই ঢাকায় যাচ্ছি। আবার কোরবানি ঈদে আসবো আল্লাহ আনলে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে, নৌরুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে সহনীয় পর্যায়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে। যাত্রীর চাপ বেশি রয়েছে, তবে যানবাহনের সংখ্যা কম।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনে করে ঘাটে আসছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র ফেরিতে পার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে ফেরির সংখ্যা বেশি থাকায় দুর্ভোগ কিছুটা কম রয়েছে।চরজানাজান নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশের টিম ঘাটে কাজ করে যাচ্ছে। ফেরিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল থেকে উভয়ঘাটগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। এই নৌরুটে বর্তমানে সব ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।