কিশোরগঞ্জ: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় এ বছরও হচ্ছে না ঈদ জামাত। এবার ১৯৪তম ঈদুল ফিতরের জামাত হওয়ার কথা ছিলো। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড় পরিসরে ও উন্মুক্ত স্থানে ঈদের জামাত হবে না। সে অনুযায়ী জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে জেলা শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে ঈদুল ফিতরের ১ম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, ২য় জামাত সকাল সোয়া ৯টায় এবং ৩য় জামাত সকাল ১০টায় মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। করোনা পরিস্থিতির আগে প্রতি বছরই ঈদ জামাতের এক মাস আগে থেকেই শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা ও মাঠের সংস্কার কাজ হতো। তবে এবার প্রস্তুতিমূলক সভা না হলেও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের জামাত খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাই এবারও শোলাকিয়া ঈদগাহে কোনো ধরনের সংস্কার কাজ হয়নি। শোলাকিয়া মাঠে ঈদ জামাত শুরু হওয়ার পর থেকে এবারও দ্বিতীয় বারের মতো ঈদুল ফিতরের জামাত হচ্ছে না। ১৮২৮ সালে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপর এ ঈদগাহ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। ওই বছর ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমানে ‘শোলাকিয়া’ নামকরণ হয়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।