নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শহরের মার্কেট ও ফুটপাতে বসা অস্থায়ী দোকানগুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।শনিবার (৮ মে) সকাল থেকেই শহরের চাষাঢ়া সমবায় মার্কেট, মার্ক টাওয়ার, ফ্রেন্ডস মার্কেট, ডিআইটি মার্কেট ও বঙ্গবন্ধু সড়কের কালিবাজারের ফুটপাতে বসা অস্থায়ী হকারদের দোকানে এমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়।বেশিরভাগ ভিড় লক্ষ্য করা যায় হকারদের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। সরেজমিনে দেখা যায়, মার্কেটগুলোতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে অধিকাংশের মাস্ক নেই। এর মধ্যে শারীরিক দূরত্বতো নেইই। তার ওপর অনেকে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে। যদিও সরকার থেকে বারবারই হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে, স্বাস্থ্য উপেক্ষিত হলেই মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে তেমন কোনো অভিযান দেখা যায়নি শহরের মার্কেটগুলোতে।এর চেয়ে একধাপ এগিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি ফুটপাতে হকার্স মার্কেটগুলোতে। হকাররা যেমন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তেমনি ক্রেতারাও উপচেপড়া ভিড় ঠেলে কেনাকাটা করছেন। ফুটপাতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কারণে সাধারণ মানুষ চলাচল করছেন মূল সড়কে। ফুটপাতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এহেন ভিড় করোনা সংক্রমণকে ভয়াবহ রূপ দিতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা।করোনার সংক্রমণের শুরু থেকেই আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করা কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, এ ধরনের অসচেতনতা আমাদের ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। একটু নিশ্বাস নেওয়ার আকুতি যে কত করুণ তা যদি প্রত্যক্ষ না করেন তাহলে কখনোই কেউ বুঝবেন না কি সেই কষ্ট। অনেক কষ্ট করেও নিশ্বাস নিতে না পেরে এ প্রাণঘাতী করোনায় মারা যান। এসব দৃশ্য বড়ই ভয়াবহ। আমাদের এখনি সতর্ক না হলে এর জন্য চরম মূল্যও দিতে হতে পারে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এটি অবশ্যই অ্যালার্মিং। বিষয়টির দিকে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। আমরা শুধু সুপারিশ করতে পারি কিন্তু এটি তো মাঠে বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হলে অবশ্যই মার্কেটসহ ফুটপাতও বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে এবং মাস্ক পরিধান করতে হবে।