বেবিচক সূত্র জানায়, বর্তমানে অনেক রাষ্ট্রদূত নিজ দেশে যেতে চান, অনেকে আবার বাংলাদেশে আসতে চান। কিন্তু বিদেশিদের ক্ষেত্রে বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া যায়, প্রবেশ করা যায় না। অন্যদিকে অনেক প্রবাসী নানা দেশে আটকে পড়েছেন। ফলে ৫ মের পরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা-ভাবনা চলছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে জানায় সূত্র।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পূর্বের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ও ডমেস্টিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কুয়েত, বাহরাইন, চীন, সৌদি আরব, ইউএই, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরের জন্য স্পেশাল ফ্লাইট চলমান।
বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এয়ারপোর্টে আনার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সির। প্রবাসী কর্মীরা কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মিশনের ছাড়পত্র নেন এবং দেশে প্রযোজ্য কোয়ারেন্টিন শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ঢাকা-চীন ফ্লাইট পরিচালনা করবে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নির্দেশনাগুলো তাদের যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। এছাড়া ৬টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে এখন থেকে ট্রানজিট যাত্রীরাও চলাচল করতে পারবেন। তবে প্রবাসী কর্মীদের এখানে অগ্রাধিকার দিতে হবে।